আশ্বিনের এক উদ্ভাসিত প্রভাতে
তুমি জন্মিলে এই ক্লান্ত, শ্রান্ত জাতির
ক্রোড়ে। বিধির বিধান ছিল তোমারই
উপরে। জাতির উত্তরণ তোমারই স্কন্ধে।
শিখালে মাতৃভাষা, সংশোধিত লিপি
দ্বারা। এল 'বর্ণপরিচয়' বাঙালির শৈশবে।
উচ্চতর শিক্ষার সংশোধিত
রূপকার তুমি - অবদান অপরিমেয়।
জ্ঞানের তুণ হতে শর লয়ে
বিদীর্ণ করিলে অজ্ঞানের অন্ধকার।
বাঙলা গদ্যের শৈশবের পদক্ষেপকে
তুমি করিলে পরিণত, বলিষ্ঠ।
ভবিষ্যতের প্রজন্মের চির নমস্কার।
হে বীরসিংহের শ্রেষ্ঠ নরপুঙ্গব
প্রণমি তোমায় - আপামর জানিল তোমায়
'দয়ার সাগর' বলে, 'বিদ্যাসাগর' বলে।
হে ঈশ্বরচন্দ্র, ব্যাঘ্রের ন্যায় আস্ফালিয়া
নিশার কবল হতে উদ্ধারিলা নারীকে -
জন্মিল 'হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়';
জন্মিল বিধবা বিবাহ আইন;
প্রকাশিলে 'সব শুভকরী' ।
সমাজবক্ষে তোমার চরণ-চিহ্নের
অভাব আজিকে বড়ই লক্ষিত, হে প্রভু।
হে প্রভু, তোমার কঠোর-কোমল হৃদয়-সুধা
অবর্তমান, অবলুপ্ত। হে ভারতীশ্রষ্ঠ,
আশীর্বাদ করো যেন তোমার পদাঙ্ক
অনুসরণে কখনো না হয় পদস্খলন।